সাইটটি সন্ধান করুন

কুচবিহারের মহারাজা ও মহারানী

কুচবিহারের মহারাজা ও মহারানী

বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

বিবিধভারতীর হাঁস: আমার কবিতা /সুবীর সরকার

বিবিধভারতীর হাঁস: আমার কবিতা /সুবীর সরকার

আমার কবিতা /সুবীর সরকার

১।
পাখি ও প্যাঁচার কথা বলি
ব্যালকনি দুপুর।অন্ধকার
       সরাতে থাকি
প্রসাধনক্রিয়ার করতালি
অকারণ কথার বিক্রিয়া
অংশকে মিশ্রিত করি সমগ্রের
         সাথে
উৎসবঋতু।হাঁটুজল।
নেচে উঠবেন বলদবাহন শিব
ফোলা ফোলা চোখমুখ
পা ও পাখির
    রি-মেক
ব্যালাডের খোল থেকে আসা
       গান ও গাথা
কান পেতে লুপ্ত কথা শুনি
বাতাসবারান্দায় প্রবচন
গুজব গজাচ্ছে বাগধারায়
হলুদের বনে পাখিরা
       জাগে
হলুদের খেতে দোতারা জাগে
চক্রান্তের চক্রে ঘুরি ফিরি
ছায়ায় দাড়িয়ে সিদ্ধার্চায
ধানগাছের ছায়া মাপছেন 
 ২।
প্রসঙ্গ ভুলি।যথোচিত লোকাচার
অন্নজল ব্যাতীত কিছু নয়
শুধু ডিমকুসুম রোদ
সরসেখেতের মধ্য দিয়ে
            যাওয়া
কথাবৃষ্টির ভাইব্রেশন থেকে
আমাদের পাখিজন্ম হয়
দুরন্ত নদী ডিঙোই হুডখোলা
               জিপে
দিক ও দিগরের যত গান
সাক্ষাকার সেরে নেয়
চরাচরে জ্যোৎস্নার দহ
চরাচরে কাকতাড়ুয়া
লোকাচার সৌজন্য শিখছে
ভয়াবহ মনে হয় চিড়েকোটা
   গান
ব্রত কথায় পূজাপাবর্ণ
উঠোন নিকানো,লেপাপোছা
প্রসঙ্গ তুলি,প্রসঙ্গহীনতার---
৩।
¢pÜ¡Q¡kÑ পুঁথি বাঁধছেন
কৃষিবউ ধানের আঁটি
ঘাসবনে সাপ ও বেজি
কথাটি গোপন থাক
কথাবনে বাতাস লাগুক
পথে পা।সহজিয়া
        হই
৪।
ভাসে শব,স্তবকে স্তবকে
জলের অনেক নীচে
চুল খোলা মেয়েদের
           গান
সকরুন,লয়হীন
পরিবর্তে হাহাকার হাসে
মাথা দুলছে,চন্দ্রপক্ষে
পচা শামুক।গুল্মলতা।
বাগানে বাগানে
         ডাহুক
শিষ্‌টিকে শিরোনাম ভাবি
শিষ্‌টি নাকি শিরোনাম
              হয়
ভাসে স্তব।জটিলতার
৫।
কাঠপুতুলের বংশধর
পিঁপড়ের চোখে ছানি
অনেক আঁধার;নিস্প্রদীপ
              রাত্রি
বসন্তের বাজনা আসুক
দিঘীঘাটে স্মৃতিমাস্তুল
ব্যালাডের আবছায়ায়
ক্রমশ ঢুকছে নর্তকী
বেড়াল হাটলেও পদধ্বনি
              নয়
হাটবারে গামছাবান্দা দই
আর কাঠপুলে
কাঠপুতুল
৬।
শেষবিকেলের সেচখাল
সম্ভাবনা নিয়ে বসে থাকে
অনাবাদী পতিত জমি
মাঠখেতের চকিত ইঁদুর
বনক্ষেত্র ঘিরে টংঘর
হাতি তাড়াতে গিয়ে
              হরিনদর্শন
fkÑ¡ç fkÑটক এইসব দেখে
কোরাস গাইছে ময়ূর-ময়ুরী
নদীজলে গো-মহিষের
              গাড়ি
বকনা বাছুর দেখে fkÑটক
              ছবি তোলে
৭।
কতটা আঞ্চলিক হবে
কুয়াশাঘেরা রাতে
কৃষিগ্রাম,ঘরবাড়ি
তন্ত্রমন্ত্র নিয়ে হেটে
           চলা
সঞ্চিত জল,জলাধারে
সম্পন্ন ঘরামীরা আসে
হাওয়াপাখির অধরা
              গান
কতটা আঞ্চলিক হবে
তোমাদের সাদামাটা
  ৮।
প্রস্তাবে শোক ছিল
একধরণের সতর্কতাও
আলস্যকে ভোগ্যপন্য
              ভাবি
বিলাসব্যাসন সাজাই
পোড়াকাঠ হাতে বেড়াল
              তাড়াই
phÑত্রই ক্রিয়াপদখেলা
বাঁশের ভেলায় চেপে
              সারাবেলা
৯।
নদীকিনারায় পাখি
শোকমিছিলটি দীর্ঘতর
সুসমাচার মেইলবক্সে
সার্কাস দেখতে গিয়ে
              রক্তবমি
মৃত্যুটি ডেটলে ডোবানো
দরজার কাছে মেঘ
জানালায় কুয়াশাহাওয়া
সন্দেহপ্রবন হাতের তালু
দিন শুরু
       ফেরিওয়ালার
হাসির ভাঙা হাটে পাখিরা 
১০।
দ্রুততাও লিখতে পারি?
ঘুমে ভারি হয়ে আসা
            চোখ
খোঁপায় কাটা,শষ্যবর্ণ শাড়ি
যাদুবিদ্যার এক গ্রাম
ধানগোলা উজার হয়ে
            যায়
ভয় দেখাছে ফাঁকা আওয়াজ
সন্ত্রাস ও শূন্যতার
         বারমাস্যা
বন্ধুরা বিগত আজ
শোকের বদলে ব্যালাড
১১।
প্রসন্নতা নিয়ে বিকেল ঘুমোবে
ঘুম ভাঙলে গানের
              ধারা
গুপ্তচরের দেয়া তথ্যে সতর্কতা
              থাকছে না
লুকোছাপা পথে স্টাইল
              ঢুকিয়ে দিও
পশুচারণ প্রকৃতই অদ্ভুত এক
              টিমগেম
১২।
বহুদিন দেখেনি এমন দৃশ্যপট
স্নানদৃশ্যের ধারাপাত,মেঘের
              স্তুপ
নদী ও বাগিচাবাহিত পথ
পাখিডাকে কুশলবার্তা
শালগাছের রস খেয়ে বেঁচে
              থাকা
লোরেং পোকা,
জলজলার তীব্র হুইসল
সিসি লাইনে ডো্রা বাঘ
মধুফুল ছুঁয়ে মাঠের গন্ধ
নিয়ত দৃশ্যান্তর।উধাও
              জনপদ
১৩।
হয়তো মসৃন সড়কপথে পাড়ি জমাবে
হয়তো কনফেসন বক্স,আলোছায়ায়
পাথর থেকে পাথর টপকে
              ভেজা ঘাস
কিংবা কনসার্টের দিকে ¢pÜ¡Q¡kÑ
                             হাটছেন
তন্ত্রমন্ত্রের যত গান অবধারিত
                     দোলনা ব্রিজে
হয়তো চোখের আড়াল,চিলতে
                     হাট
জলছবির পাশে বাজাও অনন্ত
              ব্যালাড

AMAR NUTAN BOI,PUBLISHED BY- KABITA PAKSHIK.

রবিবার, ২ জানুয়ারী, ২০১১

আমার কবিতা /সুবীর সরকার

          সুবীর সরকার
                 *********************************
         ভরা নদীর বাঁকে বাঁকে
.
কোথাও কিংবদন্তি তৈরী হছে।জনশ্রুতি উপকথার যৌথতায় কিংবদন্তি কিংকর্তব্যবিমূঢ় প্রান্তবাসীর প্রচলিত কাহিনী দলবৃত্তে ভোরবেলার গা থেকে বেরোন গল্পের মতো ধোঁয়া ওঠা গরম ভাতের অভিব্যক্তি হয়ে যেন অভিশাপের কলাবৃত্তে অন্যমনস্ক নতুনতর আখ্যানের শরীরে মিশে যেতে থাকে।আবার কিংবদন্তীর অনুখন্ডের উপর বাতাস বইতে থাকে ভরাবর্ষার নদীতে জোরে নৌকো বাইবার মতো।অগণন কাঠের বাড়ি জীবন বৃত্তান্তের পাঠ পতনজাত উন্মোচনে শিহরিত লোক কাহিনির গন্ধ শুঁকতে শুঁকতে বাঁশফুল ও বিবৃতির ব্যক্তিগতে নিবিড়তা গাঢ় খোয়াবে হাসি কান্নার আত্মগতে গো-মহিষের গাড়ি চলাচলে নিজর্ন মুখরতায় তৈরী হতে থাকা কিংবদন্তি আবার কিংবদন্তির ভেতরেই পাশ ফেরে মেঠো ইঁদুর ঘুনপোকা শুন্য মাঠের রিক্ততায় হাহাকারের ভাঙা জীবনের মাঝখান দিয়ে বইতে থাকা হাট বাজার ঘিরে রাখা নদী ও নদীচ্ছায়াজাত বিন্যাসের পায়ে মাথা কোটে।
.
মরে যাওয়া জ্যোস্নার ব্যাপ্তিতে রাতচরা পাখির অদৃশ্য  জায়মানতার শৈথিল্যে দৃশ্যের পর দৃশ্যের জন্ম হয়।জন্ম জন্মান্তরের আগল খুলে ধুলোবালির রিক্ততায় চিরনতুন সব মানুষেরা  মহাপৃথিবীর বিশাল আদিম উৎসবিন্দু টুকু স্পশ র্করে,ছুঁয়ে যেতে চায়।আর ভরানদীর বাঁকে বাঁকে জেগে ওঠে অনন্তকালের সমস্ত এপিটাফ নিয়ে প্রান্তর জলাভূমি নাচগান ও রহস্যময় এক কুহকের ভিতর।

রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১০

রবিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১০

লেবেল